ফিশ মিল বা শুঁটকির গুড়া ঘোষণা দিয়ে আনা চালানের ভেতরে বিপুল পরিমাণ শুঁটকি মাছ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে সেই চালানটি জব্দ করে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।জব্দ করা মাছের চালানে ১০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর সেড থেকে পণ্য চালানটি জব্দ করেছে কাস্টমস।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান শামীম এন্টারপ্রাইজ ভারত থেকে ৫০ মেট্রিক টন ফিশ মিল ঘোষণা দিয়ে পণ্য চালানটি আমদানি করে। চালানটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ইনোভেটিভ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। চালানটি কাস্টম থেকে ছাড় করার জন্য প্যারেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টার নামে এক সিএন্ডএফ এজেন্ট বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। ভারতীয় তিনটি ট্রাকে করে মঙ্গলবার রাতে পণ্য চালানটি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
বেনাপোল কাস্টমসের পরীক্ষণ গ্রুপের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে ডেপুটি কমিশনারের নির্দেশে ফিশ মিল ঘোষণায় আমদানি করা পণ্য চালানটি পরীক্ষণ করা হয়। পরীক্ষণ করে তিনটি গাড়িতে ৫০ টন ফিশ মিলের মধ্যে ঘোষণাবহির্ভূত প্রায় ৭ টন শুঁটকি মাছ পাওয়া যায়। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ফিশ মিলের ভেতরে শুঁটকি মাছ আমদানি করায় পণ্য চালানটি সাময়িক জব্দ করা হয়েছে। ফিশ মিলের কোনো শুল্ক কর দিতে হয় না। তবে শুটকি মাছের শুল্ককর ৫৮ শতাংশ। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রতিকেজি শুঁটকি মাছের শুল্কায়ন মূল্য ২ ডলার এবং শুল্কহার ৫৮ শতাংশ। ঘোষণাবহির্ভূত শুঁটকি মাছের মূল্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পণ্য চালানটিতে ডিউটি ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল প্রায় ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি তারেক বাবুল বলেন, আমদানি করা পণ্য চালানটি ফিশ মিল। এখানে কোনো শুটকি মাছ নেই। ল্যাবে পরীক্ষণ করলেই প্রমাণিত হবে এটা ফিশ মিল নাকি শুটকি মাছ। এখানে আমার বা আমার আমদানিকারকের কোনো অপরাধ নাই। আমদানি করা পণ্য চালানে শুল্ক ফাঁকির কোনো প্রবণতা আমাদের নাই।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী বলেন, আমদানি করা ফিশ মিলের ভেতরে ঘোষণাবহির্ভূত শুঁটকি মাছ পাওয়ায় পণ্য চালানটি সাময়িক আটক করা হয়েছে। জব্দ করা পণ্য চালনে প্রায় ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল। কাস্টমস আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।